বর্তমান যুগ ইন্টারনেটের যুগ। এখন ঘরে বসে মানুষ বিশ্বের প্রায় সব কাজ করছে। বলা যায়- পৃথিবী এখন হাতের মুঠোয়। এই ইন্টারনেট ব্যবস্থাকে কাজে লাগিয়ে যে ব্যবসায়িক মাধ্যম গড়ে উঠেছে সেটাই হচ্ছে ডিজিটাল মার্কেটিং। এককথায় বলা যায়, ডিজিটাল মার্কেটিং হলো- ইলেকট্রনিক মিডিয়ার মাধ্যমে পণ্য, প্রতিষ্ঠান বা ব্র্যান্ডের প্রচারণাকে বোঝায়। ইন্টারনেট ব্যবস্থা ডিজিটাল মার্কেটিং-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে যুক্ত। যেমন- গুগল, ইউটিউব, বিভিন্ন ওয়েবসাইট, ফেসবুকসহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম।
মূলত মার্কেটিং হচ্ছে- যে কোনও পণ্য অথবা সার্ভিস এর প্রমোশন করা, প্রচার করা এবং ওই পণ্যের ক্রেতা তৈরি করা। এই মার্কেটিং আপনি যখন অনলাইনে করবেন সেটা হবে- “ডিজিটাল মার্কেটিং”। আপনি যখন এই “ডিজিটাল মার্কেটিং” স্কিলটা নিজের কোনও প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিসের বিক্রয় ও প্রমোশনের জন্য ব্যবহার করবেন, তখন সেটা হবে ইন্টারনেট মার্কেটিং। আর আপনি যখন আপনার ডিজিটাল মার্কেটিং স্কিলটা ব্যবহার করে অন্য কারও প্রোডাক্ট অথবা সার্ভিস কমিশন ভিত্তিক প্রমোশন করবেন, সেটা হবে- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে ক্যারিয়ার
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য ভালো একটি ক্যারিয়ার হবে কিনা- তা এখনি জানা যাবে। নিচে লেখা সবগুলো বিষয় যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং আপনার জন্য। আর একটি যদি না মিলে, যত দিন আপনি ওই জিনিসটি মেলাতে না পারবেন, ভালো মার্কেটার হতে ওই একটি বাঁধা আপনার রয়ে যাবে।
বিষয়গুলো হলো:
-কম্পিউটারটি আমার মন মতো, এই কম্পিউটারে আমি কাজ করে আনন্দ পাই।
-আমার ইন্টারনেট লাইনটি আনলিমিটেড, আর আমি সহজেই ইউটিউবে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই ভিডিও দেখতে পারি।
-আমার একটি প্রিন্টার আছে।
-আমার একটি আলাদা কাজের জায়গা আছে, আর কাজের সময় কেউ আমাকে ডিস্টার্ব করে না।
-আমি স্বপ্ন দেখতে পছন্দ করি, আর স্বপ্ন সত্যি করার জন্য আমি নিরলস পরিশ্রম করতে রাজি।
-আমার ইংরেজি দক্ষতা খুবই ভালো, আমি যা শুনি সহজেই বুঝি, আর আমি কোনও সমস্যা ছাড়া ইংরেজি লিখতে পারি।
-নতুন বিষয়ে পড়াশোনা করতে, গবেষণা করতে আমার ভালো লাগে।
-খুব সূক্ষ্ম ভুলও আমার চোখ এড়ায় না, যা করি একদম ভালোভাবে করি।
-বন্ধু, আড্ডা, খেলাধুলা, বেড়ানো- এ সবকিছুর চেয়ে বেশি আমি আমার ক্যারিয়ারকে মূল্য দেই।
-আমি কখনওই হার মানি না, একটি কাজ শুরু করলে সেটা শেষ করেই ছাড়ি।
-আমি প্রতিদিন অন্তত ৩ ঘণ্টা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে কাজ করতে পারব।
-আমার হাতে ২০-২৫ হাজার টাকা আছে, যা শেখার কাজে শেষ হলেও কোনও অসুবিধা নাই।
-অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে এখনি উপার্জনের চেয়ে ভালোভাবে শেখাটা আমার কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
-মানুষের মন-মানসিকতা ও চিন্তাধারা (Customer Phycology) সম্পর্কে জানতে ভালো লাগে।
-যে কোনও কিছু সম্পর্কে আমি বিস্তারিত তথ্য খুঁজে বের করতে পারি গুগল থেকে।
-আমার মধ্যে লোভ খুব একটা কাজ করে না। তাড়াতাড়ি বড়লোক হওয়াতে আমি বিশ্বাসী না।
-আমি জানি আমি পারব, আমি সম্পূর্ণ আত্মবিশ্বাসী, সামনের বছর এই সময় আমি একজন সফল মার্কেটার হয়ে দেখাব।
উপরের এ সবগুলো বিষয় যদি আপনার সাথে মিলে যায়, তাহলে- অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ে আপনি সফল হবেন-ই, ইনশাআল্লাহ।