ব্লগিং পেশাটা বর্তমানে অনলাইন জুড়ে একটি ট্রেন্ডিং বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে অনেক নতুন নতুন ব্লগার তৈরি হচ্ছে এবং অনেকেই সফল হচ্ছে। আবার অনেকেই ব্লগিং (Blogging) লাইফে এসে কিছুদিন পর ড্রপ আউট হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু কেন? ব্লগিং নিয়ে আজকে আমি বেশ কিছু বিষয়ে আলোচনা করেছি। আপনি যদি ব্লগিং করতে চান, তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আপনাকে জানতে হবে।
একজনের কাছে শুনে, দু/একটি আর্টিকেল পড়ে দু-চারটি ভিডিও দেখেই ব্লগিং-এর ঝাঁপিয়ে পড়লেন। বিষয়টি অতটা সহজ নয়। তাই ব্লগিং শুরু করার আগে আপনি জেনে নিন এই বিষয়গুলি সম্পর্কে । তাহলে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার দ্বারা ব্লগিং সম্ভব কিনা।
তবে একটি কথা বলতে পারি আপনি ভালো করে জেনে ব্লগিং সম্পর্কে ভালোভাবে জ্ঞান অর্জন করে ব্লগিং শুরু করেন তাহলে মাসে 50 হাজার থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা ইনকাম করা ব্যপারই না।
আপনি যদি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে আগে থেকেই জেনে থাকেন তাহলে তো আমি মনে করবো আপনি ব্লগিং জীবনে সফল হয়ে গিয়েছেন। আর যদি নতুন হয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই এই বিষয়গুলো ফলো করুন তাহলে খুব দ্রুত ব্লগিং সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
প্রথমে আমরা ব্লগিং এর সাথে পরিচিত হয়ে নিইঃ
ব্লগিং কি? কেন ব্লগিং করবেন?
সহজভাবে বলতে গেলে, ব্লগিং হলো অনলাইনে কোন একটি বিষয় সম্পর্কে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে সবার মাঝে ছড়িয়ে দেয়া। আরেকটু বিস্তারিত বলতে গেলে: কোন একটি উদ্দেশ্যে একটি নির্ধারিত বিষয় সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে সেগুলো সারা বিশ্বে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা ইউজারদের সুবিধার জন্য উপস্থাপন করা। যাতে একজন ইউজার এর কোন একটি বিষয় সম্পর্কে জানতে চাইলে খুব সহজেই ইন্টারনেটে সার্চ করে জেনে নিতে পারে।
অর্থাৎ: মনে করুন আপনার একটি মোবাইল ফোনের মেমোরি কার্ড থেকে সকল মিডিয়া ডিলিট হয়ে গিয়েছে। কিন্তু আপনি জানেন না সেই মিডিয়াগুলো পুনরায় কিভাবে ফিরিয়ে আনবেন। তাই আপনি “ডিলেট মিডিয়া ফিরে পাওয়ার উপায়” ইন্টারনেটে সার্চ করলেন। সঙ্গে সঙ্গে নিচে অনেকগুলো সমাধান সহ রেজাল্ট চলে আসছে। এবং আপনি সেখান থেকে যে কোন একটি রেজাল্টের উপর ক্লিক করে জেনে নিলেন কিভাবে আপনার মিডিয়াগুলো পুনরায় ফিরে পেতে পারেন।
এখন আপনার সার্চ রেজাল্টে যতগুলো লিংক এসেছে এর প্রত্যেকটি এক একটি ব্লগ। এবং যারা এই ব্লগ গুলো কে নির্মাণ করে সার্ভিস দিচ্ছে তারা হচ্ছেন ব্লগার। এবং এই পেশাটি হচ্ছে ব্লগিং। আশা করি বোঝাতে পেরেছি।
ব্লগিং কেন করবেনঃ মানুষ বিভিন্ন কারণে ব্লগিং করে তার মধ্যে অন্যতম কিছু কারণ হচ্ছে,
- নিজের পেশা হিসেবে অর্থ উপার্জন করার জন্য ব্লগিং করা।
- শখের বশে ব্লগিং করা।
- পার্ট টাইম ব্যবসা হিসাবে ব্লগিং করা।
- আপনি যে বিষয় গুলো জানেন সে বিষয়গুলো মানুষের মাঝে ছড়িয়ে দিতে ভালোবাসেন। তাই আপনার বিষয় গুলো ছড়িয়ে দেয়ার জন্য ব্লগিং করা।
আজকে আমরা মূলত আলোচনা করছি প্রথম বিষয়টি নিয়ে অর্থাৎ, পেশা হিসেবে কিভাবে ব্লগিং করতে হবে। ব্লগিং করে কিভাবে টাকা উপার্জন করা যায় এবং নিজের ক্যারিয়ার গড়া যায়। আর আপনি যদি ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে চান তাহলে ব্লগিং শুরু করার পূর্বে নিচের বিষয়গুলো আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে।
১। ব্লগিং করার উদ্দেশ্য
ব্লগিং এর ব্যাপারে আলোচনা করতে গেলে প্রথমে যে বিষয়টি আসে সেটি হলো আপনি ব্লগিং কেন করতে চাচ্ছেন। আপনার ব্লগিং এর উদ্দেশ্য কি। আপনার ব্লগিং করার উদ্দেশ্য যদি টাকা ইনকাম করা হয় তথা ক্যারিয়ার ডেভেলপ করা হয়, তাহলে অবশ্যই ব্লগিং করার শুরুতে আপনাকে প্ল্যানিং করতে হবে।
আর যদি শখের বসে ব্লগিং করেন তাহলে সেটা ভিন্ন কথা। আজ আমরা সে বিষয়ে যাবনা।
যেহেতু আমার উদ্দেশ্য হলো ব্লগিং করে নিজের ক্যারিয়ার গড়া অর্থাৎ টাকা ইনকাম করা। দূর করার শুরুতে জিরো ভাবে আপনাকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যে আমি অবশ্যই ব্লগিং করে সফল হতে পারব। আর যদি আপনি প্ল্যানিং না করে শুরু করেন তাহলে ব্লগিং ক্যারিয়ার এলোমেলো হয়ে যেতে পারে।
ব্লগিং করার উদ্দেশ্য সেট করার সময় যে বিষয়গুলো লক্ষ্য রাখা উচিতঃ
- প্রথমে নিজে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন যে আপনি ব্লগিং করতে পারবেন কিনা? যদি উত্তর না হয় তাহলে এখনো ছেড়ে দিন।
- আর যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয় তাহলে নিচের বিষয়গুলো ফলো করে আজকেই ব্লগিং শুরু করে দিন।
- আর যদি আপনার এমন মনে হয় যে আজ ব্লগিং শুরু করব যদি তিন মাসের মধ্যে কোন একটি পর্যায়ে যেতে পারি তাহলে ব্লগিং করব অন্যথায় ছেড়ে দেবো। এরকম পরিকল্পনা থাকলে তাহলে আজও ব্লগিং এর চিন্তা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। কেননা আপনি যদি ব্লগিং এর জন্য পুরোপুরি নিজের মাইন্ড কে সেট না করতে পারেন তাহলে আপনার দ্বারা ব্লগিং করা হবে না।
- অথবা আপনি মনে মনে ধারণা করছেন আপনি অবশ্যই ব্লগিং করতে পারবেন, কিন্তু মন থেকে আপনার এই সমস্ত কাজগুলো ভালো লাগেনা। কিছুটা ইচ্ছের বিরুদ্ধে জোর করে শুরু করতে যাচ্ছেন। যদি আপনার পরিস্থিতি এমন হয় তাহলে আপনি আরও ভাবুন।
একটা কথা মনে হলো: বহু আগে শুনেছিলাম, “পৃথিবীতে সবচেয়ে কঠিন কাজ হলো অন্যের পকেট থেকে টাকা বের করে নিজের পকেট এ আনা ” প্রবাদটি একেবারেই সত্য। কথাটি কিন্তু অবশ্যই আপনার মাথায় রাখতে হবে।
যাই হোক, এবার আসছি আপনি কি ধরনের ব্লগিং করবেন। এ বিষয়টি জানতে অবশ্যই জানতে হবে ব্লগিং এর ধরন গুলো সম্পর্কে।
৮। ওয়েবসাইট এর পোষ্ট এবং পেজ কিভাবে কাজ করে
একটি ওয়েবসাইটে আপনার কনটেন্ট দুইভাবে পাবলিশ করা যায় একটি হলো একটি ব্লগ পোস্ট এর মাধ্যমে অথবা আপনি চাইলে আপনার আর্টিকেলটি একটি পেজ এর মাধ্যমেও প্রকাশ করতে পারবেন।
নরমালি যে সমস্ত নিউজ বা তথ্যসমূহ সচারাচর আপডেট করা হয় সেগুলো পোস্ট আকারে করা হয়। এবং এগুলি একটি ব্লগে নিয়মিত কনটেন্ট। এছাড়া বেশকিছু নির্ধারিত করে পাবলিশ করা হয় যেগুলো একটি ওয়েবসাইট এর মধ্যে থাকে এবং সব সময় একই রকম থাকে।
একটি ওয়েবসাইটের যে সকল পেজ থাকেঃ কাহারো প্রথম লেভেলে ১০ জন অর্থাৎ ডিরেক্ট ১০জন মেম্বার হলে তখন সে ওয়ান স্টার মেম্বার হয়ে যাবের। About Us, Contact Us, Member, Frontend Dashboard, Pricing, Product, Privacy Policy, Term & Condision.
#৯। আর্টিকেল রাইর্টি কি? কিভাবে আর্টিকের লিখতে হয়
আর্টিকেল তথা কনটেন্ট হলো একটি ওয়েবসাইটের প্রাণ। অর্থাৎ একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইট পরিচালনা করতে হলে অবশ্যই আর্টিকেল রাইটিং শিখতে হবে। অন্যথা একটি ওয়েবসাইট বা ব্লগ পরিচালনা করা সম্ভব নয়। ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখতে হলে একটি ওয়েব আর্টিকেল এর বেশ কিছু বৈশিষ্ট্য থাকে সেগুলো অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। যেমন, এট্রাক্টিভ হিডিং, আর্টিকেল এর সারাংশ, বিস্তারিত আলোচনা, এবং সমাপনী। এবং একটি আর্টিকেল এর মধ্যে কিছু মিডিয়া ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিঙ্ক করতে হয়।
#১০। পার্মালিংক কি? পার্মালিংক কেমন হওয়া উচিৎ
ব্লগিং করতে হলে পার্মালিংক সম্পর্কে অবশ্যই আপনার ধারনা থাকতে হবে। পার্মালিনক হল আপনার প্রতিটি আর্টিকেলের আলাদা আলাদা লিংক। যে লিঙ্ক ধরে ভিজিটররা নির্ধারিত একটি আর্টিকেল খুঁজে পাবে। অর্থাৎ আপনার মূল ডোমেইন এর পরে স্ল্যাস (/) চিহ্ন দিয়ে যে অংশটুকু যুক্ত করা হয় সেটি হল একটি ব্লগের পোস্ট পার্মালিংক। ওয়েবসাইট এর প্রতিটি পোষ্ট ক্যাটাগরি এবং পেজের পার্মালিনক ভিন্ন ভিন্ন হয়ে থাকে। যেমন: zmg.com.bd/permalink
#১১। কী ওয়ার্ড কি? কিভাবে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন
একটি ব্লগ বা ওয়েবসাইটের জন্য কিওয়ার্ড গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। আপনি যখন কোনো একটি কনটেন্ট বা আর্টিকেল লিখবেন তখন অবশ্যই কোনো একটি কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে লিখতে হবে। তাহলে আপনার একটি ব্লগ পোস্ট খুব দ্রুত গুগলে রেংক করবে।
কীওয়ার্ড কি?
কিওয়ার্ড হল এমন একটি শব্দ যেটি সার্চ ইঞ্জিনে লিখে কোন একটি বিষয় সার্চ করে। মানুষ যে সমস্ত বিষয় লিখে গুগলে সার্চ করে প্রত্যেকটি শব্দ কিন্তু কিওয়ার্ড নয়। সার্চ করা প্রত্যেকটি শব্দ এক একটি সার্চ কোয়েরি। এবং প্রত্যেকটি সার্চ কোয়েরির মধ্য থেকে বেশ কিছু শব্দ রয়েছে যেগুলো গুগোল এর সার্চ কনসলে নির্ধারিত থাকে। যে কোন সার্চ কোয়েরি লিখে সার্চ করার পর কোয়েরীগুলো যে কি-ওয়ার্ড এর সাথে ম্যাচ হয় তার উপর নির্ভর করে রেজাল্ট শো করে।
যখন আমরা কোনো কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে আর্টিকেল লিখব তখন সেই রিলেটেড যেকোনো কুয়েরি লিখে সার্চ করলে আমাদের সেই আর্টিকেলটি সার্চ রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়।
আর যদি কোন কিওয়ার্ড কে টার্গেট করে আর্টিকেল লেখা না হয়, তাহলে সে আর্টিকেলটি রেজােল্টে আসতে প্রচুর সময় লাগে বা কোন কীওয়ার্ড এর সাথে ম্যাচ না হওয়ার কারণে কখনোই সার্চ রেজাল্টে প্রদর্শিত হয় না।
১২। ইন্টারনাল ও এক্সটারনাল লিংক কি? কিভাবে ব্যবহার করবেন
একটি ওয়েবসাইটের ইন্টারনাল এবং এক্সটারনাল লিংক হলো- যখন একটি আর্টিকেল এর মধ্যে অন্য একটি ওয়েবসাইটের লিংক যুক্ত করে দেয়া হয় তখন সেটাকে এক্সটার্নাল লিনক বলে।
এক্সটারনাল লিংক: এক্সটার্নাল লিংক এর উপর কোন ভিজিটর ক্লিক করলে ওয়েবসাইট থেকে পুরোপুরি বাহির হয়ে অন্য ওয়েবসাইটে চলে যাবে। এক্সটার্নাল লিংকটি দুইভাবে করা হয় একটি হচ্ছে ডো ফলো এবং অন্য একটি নো ফলো। এই লিংকগুলি শুধুমাত্র অন্য একটি সাইট রেফারেন্স হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
ইন্টারনাল লিংক: ইন্টার্নাল একটি আর্টিকেল এর মধ্যে এমন লিংক তৈরী করা যেটি একটি ওয়েবসাইটের অন্য আরেকটি আর্টিকেল এর লিংক। অর্থাৎ লিঙ্গের উপর যদি কোন ভিজিটর ক্লিক করে তাহলে সেই ওয়েবসাইটের অন্য আরেকটি আর্টিকেলে চলে যাবে কিন্তু সে একেবারে ওয়েবসাইটের বাইরে যাবে না।
এই লিংকটি করা হয় যদি আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন ধরনের রিসোর্স থাকে তাহলে একটি আর্টিকেল থেকে অন্য একটি আর্টিকেল এ রেফার করার জন্য ব্যবহার করা হয়।
#১৩। মিডিয়া কি? কেন মিডিয়া ব্যবহার করবেন
মিডিয়া হলো একটি ওয়েব সাইটের কনটেন্ট এর মধ্যে ব্যবহৃত ছবি, ভিডিও, ডক ফাইল, পিডিএফ ফাইল। এগুলো বিভিন্ন সময় বিভিন্ন প্রয়োজনে ব্যবহার করা হয়। যেমন: ফিচার ইমেজ, স্কীনসট, ইনফোগ্রাফি, ভিডিও, ইনফোগ্রাফি ইত্যাদি।
#১৪। নেভিগেশন মেনু কি? কেমন নেভিগেশন ব্যবহার করা উচিৎ
ওয়েবসাইটের নেভিগেশন মেনু হলো পুরো ওয়েবসাইটের একটি সাইট ম্যাপ। অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইটের উপরের দিকে কিছু মেনুবার থাকবে যেখান থেকে ওয়েবসাইট এর মধ্যে কোথায় কি রয়েছে সেগুলো জানতে পারবে। নেভিগেশন মেনুগুলো ক্যাটাগরি অনুযায়ী বা পেজ অনুযায়ী হতে পারে।
এমনকি একটি ওয়েবসাইটের নির্ধারিত কিছু পেইজ নেভিগেশন এর মাধ্যমে নির্ধারণ করে দেয়া যায় যাতে ভিজিটররা খুব সহজেই সেটিকে খুঁজে পায়।
#১৫। ক্যাটাগরি এবং ট্যাগ
একটি ওয়েবসাইটে বিভিন্ন ধরনের ক্যাটাগরি বা ব্যবহার করা যেতে পারে। ক্যাটাগরি ব্যবহার করার ফলে যে কোন ভিজিটর তাঁর পছন্দনীয় ক্যাটাগরিতে খুব সহজেই তার তথ্য খুঁজে পাবে। আপনার ওয়েবসাইটে যে কয়েকটি বিষয় থাকবে প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ক্যাটগরির মাধ্যমে প্রকাশ করা যেতে পারে। যেমন: শিক্ষা, স্বাস্থ্যা, প্রযুক্তি, বিনোদন, খেলাধুলা, ডিজিটাল মার্কেটিং ইত্যাদি প্রত্যেকটি আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি।
১৬। গুগল সার্চ কনসোল
গুগল সার্চ কনসোল হলো যেখানে আপনার ওয়েবসাইট টিকে ভেরিফাই করতে হবে। অর্থাৎ গুগল সার্চ কনসোল এর আপনি গুগলকে বলে দেবেন যেন আপনার ওয়েবসাইটের লেখাগুলো এবং তথ্যগুলো ইনবক্স করে। গুগোল যখন আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্ডেক্স করবে তখন আপনার ওয়েবসাইটের তথ্যগুলো সার্চ রেজাল্ট এ প্রদর্শিত হবে।
গুগল সার্চ কনসোলে আপনি নির্ধারণ করে দিতে পারবেন কোন কোন আর্টিকেল এবং কোন পেজগুলো গুগল ইন্ডেক্স করবে। এবং গুগল সার্চ কনসোল থেকে আপনি দেখতে পারবেন কিকি কিওয়ার্ড বা কোন কোন বিষয়টি গুগল সার্চ রেজাল্ট থেকে ভিজিটররা খুঁজে পাচ্ছে।
আপনি যদি গুগল সার্চ কনসোলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে ভেরিফাই না করেন তাহলে গুগল আপনার ওয়েবসাইটকে চিনতে পারবে না। এবং গুগল সার্চ ইঞ্জিনে কেউ আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাবেনা।
#১৭। সার্চ ইঞ্জিন ইনডেক্স
আপনার ওয়েবসাইটটি তৈরি করার পর বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে ভেরিফাই করতে হবে। এবং বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনকে আপনার ওয়েবসাইট এর ডাটা/সাইটম্যাপ দিয়ে আসতে হবে। যখন বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন আপনার ওয়েব সাইটের সাইটম্যাপ বাড়াটা খুঁজে পাবে তখন তারা আপনার ওয়েবসাইটকে ইন্ডেক্স করবে এবং তাদের রেজাল্টে প্রদর্শিত করবে।
এবং যখন আপনার ওয়েবসাইট এ বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে ইন্টেক্স থাকবে এবং রেজাল্ট দেখাবে তখন বিভিন্ন ভিজিটর কিন্তু অটোমেটিক আপনার ওয়েবসাইটকে খুঁজে পাবে।
#১ ৮। Robot TXT কি? কেন ব্যবহার করবেন
Robot TXT একটি টেক্সট ফাইল। এ ফাইল এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনকে বলে দিতে পারবেন তারা কি কি বিষয় ইন্ডেক্স করবে এবং তাদের সার্চ রেজাল্টে দেখাবে। আপনি চাইলে এই ফাইলের মাধ্যমে বেশকিছু পেজ বা ক্যাটাগরি সার্চ ইঞ্জিন থেকে হাইড করে রাখতে পারবেন। তাহলে আপনার হাইড করা বিষয়গুলো সার্চ ইঞ্জিন কখনোই ইন্ডেক্স করবে না।
অর্থাৎ এই ফাইলের মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনকে অনুমতি দেয়া যে আমার ওয়েবসাইটের কি কি বিষয়ে আপনি ভিজিটর দের জন্য ইনডেক্স করতে পারবেন পারবেন এবং কি কি বিষয় ইনডেক্স করতে পারবে না। আপনি চাইলে নির্ধারিত কোন পোস্ট বা পেজ এ ইন্টেক্স এর পারমিশন অফ করে দিতে পারবেন।
#১৯। সাইটম্যাপ কি? কেন কোথায় ব্যবহার করবেন
সাইটম্যাপ হলো আপনার ওয়েবসাইট এর একটি এইচটিএমএল ফাইল যেখানে আপনার ওয়েবসাইট এর সকল লিংকগুলো লিস্ট করা থাকবে। এবং এই সাইটটি প্রতিনিয়ত আপডেট হতে থাকবে।
এখন কথা হল সাইটম্যাপ কেন ব্যবহার করবেন? একারণেই ব্যবহার করতে হয় যেন যেকোনো সার্চ ইঞ্জিন সাইট ম্যাপ ফলো করে আপনার ওয়েবসাইট এর নতুন এবং আপডেট লেখাগুলি দ্রুত ইন্ডেক্স করতে পারে। যখন একটি সার্চ ইঞ্জিনে আপনার ওয়েব সাইটের সাইটম্যাপ সাবমিট করবেন তখন আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন খুব দ্রুত ক্রউল পারে।
#২০। গুগল এনালাইটিক্স
এনালাইটিক্স হলো গুগলের একটি প্রোডাক্ট। গুগল এনালাইটিক্স মূলত ওয়েবসাইটের ভিজিটর পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়। এখানে আপনার ওয়েবসাইটটি ভেরিফাই করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের গতিবিধি দেখতে পারবেন। এখানে যে সমস্ত সুবিধাগুলো পাবেন সেগুলি হল:
- আপনার ওয়েবসাইট এ কতগুলো ভিজিটর এসেছে।
- কোথায় থেকে আপনার ওয়েবসাইটে ইউজার এসেছে।
- আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর কি কি ডিভাইস ব্যবহার করে প্রবেশ করেছে।
- এবং কোন ইউজার কতক্ষণ আপনার ওয়েবসাইটে থেকেছে।
- কোন কোন আইপি অ্যাড্রেস ব্যবহার করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করেছে।
- এমনকি গুগল এডসেন্স এর সাথে এনালাইটিক্স যুক্ত করা থাকলে আপনার ওয়েবসাইট থেকে কত টাকা ইনকাম হলো আপনি এখান থেকে দেখতে পারবেন।
- আপনার ওয়েবসাইটের দৈনিক সাপ্তাহিক মাসিক এবং বাৎসরিক আসছে সকল হিসাব থাকবে গুগল এনালাইটিক্স এ।
- গুগল এনালাইটিক্স মূলত ওয়েবসাইটের ভিজিটর পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়
#২১। পেজ স্পীড অপটিমাইজেশন
পেজ স্পীড অপটিমাইজেশন হল আপনার ওয়েব সাইট এর গতি বৃদ্ধি করা। যখন একজন ইউজার কোন সার্চ ইঞ্জিনে কোন কিছু খুঁজবে। তখন আপনার ওয়েবসাইটের স্পিড যত বেশি থাকবে তত দ্রুত আপনার ওয়েবসাইট এর রেজাল্ট প্রদর্শিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। আর যদি আপনার ওয়েবসাইটটি একটু ধীর গতির হয়, তাহলে সার্চ ইঞ্জিন এর রেজাল্ট আসার সম্ভাবনা কমে যায়।
আপনার ওয়েব সাইট এর স্পিড যাতে ফাস্ট হয় সেদিকে অবশ্যই খেয়াল রাখতে হবে। অন্যথায় আপনি অনেক ভিজিটর হারাতে পারেন।
কি কি কারণে পেজ স্পিড কমে যায়:
- ওয়েবসাইটের স্পিড কম হওয়ার অন্যতম কারণ হচ্ছে হোস্টিং সার্ভার। আপনার যদি হোস্টিং সার্ভার ভালো থাকে এবং দ্রুত পারফর্ম করে তাহলে আপনার ওয়েব সাইট এর স্পিড অনেকটাই বেড়ে যাবে।
- অপ্রয়োজনীয় প্লাগিন/ফাংশন ব্যবহার করা।
- অতিরিক্ত পরিমাণে কোড/স্ক্রিপ্ট ব্যবহার করা।
- বড় বড় ইমেজ ব্যবহার করার কারণেও পেজ স্পিড কমে যায়।
২২। ইমেজ অপটিমাইজেশন
আপনার ওয়েবসাইট এর আর্টিকেল এর মধ্যে ইমেজ অফ থে মেসেজ করাটা অত্যন্ত জরুরী। যখন আপনার একটি আর্টিকেল প্রকাশ করবেন তখন সে আর্টিকেল এর ব্যবহার করা প্রত্যেকটি ইমেজ অপটিমাইজ করে দিতে হবে। তাহলে আপনার সে আর্টিকেলটি খুব দ্রুত সার্চ রেজাল্টে আসার সম্ভাবনা থাকে।
অর্থাৎ একটি ইমেজ 3mb রয়েছে এবং সেই ইমেজ অনায়াসে 50kb ব্যাবহার করা যায়, সেক্ষেত্রে আপনাকে বড় ইমেজ ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই। সেদিকে রেজুলেশন ঠিক রেখে অপটিমাইজ করে তারপর আপলোড করা উচিত।
ইমেজ অফ ফেমাস করার জন্য আপনি কিছু সফটওয়্যার ব্যবহার করতে পারেন। এছাড়াও চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন টুলস রয়েছে সেগুলোর মাধ্যমে ছবিগুলোকে অপটিমাইজ করে নিতে পারবেন। যেমনঃ tinypng, tinygpg ইত্যাদি।
#২৩। ওয়েব সাইট এসইও
ওয়েবসাইট এসইও তথা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন। এটি একটি ওয়েবসাইট এর জন্য আবশ্যকীয় বিষয়। এসইও এমন একটি টেকনিক যার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটি বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে খুব দ্রুত খুজে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এসইও করার মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটটি সার্চ ইঞ্জিন গুরুত্ব দিবে এবং ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটকে খুব দ্রুত সার্চ ইঞ্জিনে খুঁজে পাবে এমন একটি পদ্ধতিই হলো এসইও (সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন)।
আপনি যদি একটি ব্লগ বা ওয়েব সাইট চালান, অথবা ব্লগিংকে ক্যারিয়ার হিসেবে নিতে চান তাহলে এসইও এর ওপর অবশ্যই গুরুত্ব দিতে হবে। অন্যথায় বর্তমানে প্রতিযোগিতার সময় আপনার ব্লগ টি টিকে থাকতে পারবে না।
#২৪। অনপেজ অপটিমাইজেশন
অন-পেজ অপটিমাইজেশন SEO(সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন) এর একটি অংশ। অন পেজ অপটিমাইজেশন এর মাধ্যমে আমরা ওয়েবসাইট এর ভিতরে থাকা প্রত্যেকটি বিষয় অপটিমাইজ করে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য উপযোগী করে গড়ে তুলতে পারি। এবং আমরা অন পেজ এসইও যত সুন্দর ভাবে পড়তে পারব সার্চ ইঞ্জিন আমাদের ওয়েবসাইটকে ততটাই পছন্দ করবে।
আর যখন সার্চ ইঞ্জিন আমার ওয়েবসাইট কে পছন্দ করবে তখন সার্চ রেজাল্টে আমার ওয়েবসাইটটি প্রথম দিকে আসার সম্ভাবনা থাকে।
অর্থাৎ ওয়েবসাইট এর মধ্যে এমন কিছু টেকনিক ব্যবহার করা যার মাধ্যমে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিন ওয়েবসাইটকে দ্রুত খুজে পাবে সেই টেকনিকই হলো অনপেজ এসইও বা অনপেজ অপটিমাইজেশন।
#২৫। অফপেজ অপটিমাইজেশন
অফপেজ অপটিমাইজেশন হলো এসইও এর একটি অংশ। এস ই ও এর মধ্যে অফপেজ অপটিমাইজেশন হলো ওয়েবসাইট এর বাহিরে যে সকল কাজ করা হয়| অর্থাৎ একটি ওয়েবসাইট জনপ্রিয় করে তোলার জন্য বিভিন্নভাবে বিভিন্ন জায়গায় ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করাকেই অফ পেজ অপটিমাইজেশন বলে| তবে এই মার্কেটিং এর ফর্মুলা একটু ভিন্ন টাইপের।
নরমালি আমরা যেভাবে একটি ওয়েবসাইট এর মার্কেটিং করে সার্চ এবং ইনকাম বাড়ায় কিন্তু এটি এবং ইনকাম বাড়ানোর জন্য নয়। এই মার্কেটিং হচ্ছে, বিভিন্নভাবে ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনে জনপ্রিয় করে তোলার একটি পদ্ধতি।
#২৬। সোশ্যাল মিডিয়া সিগনাল
ব্লগিং করতে হলে সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল সম্পর্কে অবশ্যই আপনাকে জ্ঞান অর্জন করতে হবে। সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল যেমন একটি ওয়েবসাইটের এসইও জন্য প্রয়োজন তেমনি একটি ওয়েবসাইটের মার্কেটিং করার জন্য সোশ্যাল সিগন্যাল অন্যতম পদ্ধতি হিসেবে কাজ করে থাকে।
সোশ্যাল মিডিয়া সিগ্নাল এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটকে বিভিন্ন সার্চ ইঞ্জিনের কাছে জনপ্রিয় করে তোলা যায় এছাড়াও আপনার বিজনেস সম্পর্কে খুব দ্রুত মার্কেটিং করা যায়।
সোশ্যাল মিডিয়ার সিগনাল হল: আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট সার্ভিসসমূহ বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটে সুন্দর করে উপস্থাপন করা। আপনার ওয়েব সাইট এর সার্ভিস বা কনটেন্ট যত সুন্দর ভাবে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে শেয়ার করতে পারবেন আপনার সোশ্যাল সিগন্যাল পাওয়ার সম্ভবনা তত বেশি।
এখানে সিগনাল বলতে বুঝানো হয়েছে বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়াতে আপনার ওয়েব সাইটের কনটেন্ট বা সার্ভিস শেয়ার করার পর কি পরিমাণে কনভার্ট হচ্ছে। অর্থাৎ কি পরিমানে লোক আপনার সার্ভিস এবং কনটেন্টগুলো কে পর্যবেক্ষণ করছে বা দেখছে।
একটি ওয়েবসাইটের জন্য সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল সংগ্রহ করা যায় ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে। সোশ্যাল মিডিয়া সিগন্যাল ডিজিটাল মার্কেটিং/সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং এর একটি অংশ বিশেষ।
২৭। ব্যাকলিংক
সহজ ভাষায় ব্যাকলিংক হলো আপনার ওয়েবসাইটের লিংক বা ইউআরএল অন্য একটি ওয়েব সাইটে সাবমিট করার নাম। অর্থাৎ আপনার রিলেটেড ওয়েবসাইটে যেকোনো কনটেন্ট এর মাধ্যে কোন একটি শব্দকে এঙ্কর টেক্স এর মাধ্যমে লিংকিং করাকে ব্যাকলিংক বলে।
ব্যাকলিংক কেন করা হয়: ব্যাকলিংক করার উদ্দেশ্য হলো আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে ভিজিটর কে জানানো। একজন ইউজার যখন একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করবে এবং সেখানে আর্টিকেল এর মধ্যে যখন আপনার ওয়েবসাইটের লিংক টি দেখতে পাবে সেখানে ক্লিক করে আপনার ওয়েবসাইটে চলে আসবে। এর দ্বারা আপনার ওয়েবসাইটে যেমন একটি ভিজিটর পেলেন তেমনি এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইট কে সার্চ ইঞ্জিনের কাছে জনপ্রিয় করে তুলতে পারবেন।
কিভাবে ব্যাকলিংক করতে হয়: ব্যাকলিংক করার জনপ্রিয় মাধ্যম গুলো হলোঃ
ক) গেস্ট পোস্ট করে ব্যাক লিঙ্ক করা,
খ) কমেন্ট এর মাধ্যমে,
গ) বিভিন্ন সোশ্যাল মিডিয়া ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ব্যাকলিংক করা,
ঘ) বিভিন্ন আর্টিকেল সাবমিশন ওয়েব সাইটে আর্টিকেল সাবমিট করার মাধ্যমে করা যায়
ঙ) বিভিন্ন ইমেজ বা মিডিয়া শেয়ারিং ওয়েবসাইট কোন ফাইল শেয়ারিং এর মাধ্যমে আপনার ওয়েবসাইটের লিঙ্ক করতে পারবেন।
#২৮। ব্লগ থেকে কিভাবে আয় করবেন
#২৯। ব্লগিং করতে কত টাকা খরচ হয়
#৩০। ব্লগিং শিখতে কতদিন সময় লাগে
#৩১। ব্লগিং করে কত টাকা আয় করা যায়